আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার এবং তৃতীয় বৃহত্তম শহর হেরাতের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে তালেবান। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানায়। মার্কিন গণমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানায়, বৃহস্পতিবার এ দুটি শহরের দখল নেয় তালেবান। বর্তমানে আফগানিস্তানের ৩৪ প্রদেশের মধ্যে ১২টির রাজধানীর দখল নিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
হেরাতের স্থানীয় বাসিন্দা ও সাংবাদিকের বরাত দিয়ে আলজাজিরা বলছে, আফগানিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হেরাতের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান। গণমাধ্যমটি বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেছে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য। তারা প্রায় সবাই একই কথা বলেছেন। তাদের কথা অনুযায়ী, হেরাতের সব সড়কেই অবস্থান জোরদার করেছে তালেবান। তারা সরকারি সব অফিস দখলে নিয়েছে এবং সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি। স্থানীয় সাংবাদিকদের বরাতে খবরে বলা হয়, তালেবান কারাগার থেকে বন্দিদের মুক্তি দিয়েছে।
এদিকে তালেবানের এক মুখপাত্রের বরাতে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যমটি জানায়, তালেবান আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহারও দখলে নিয়েছে। তালেবানের ওই মুখপাত্র বলেন, কান্দাহার সম্পূর্ণভাবে জয় করা হয়েছে। আমাদের যোদ্ধারা শহরের শহীদ চত্বরে পৌঁছেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে মার্কিন গণমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানাচ্ছে, তালেবান কান্দাহারের গভর্নর অফিসসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। গভর্নর এবং অন্য সরকারি কর্মকর্তারা পালিয়েছেন।
এর আগে কান্দাহারের কেন্দ্রীয় জেল ভেঙে ‘শত শত’ বন্দিকে ছেড়ে দিয়েছিল তালেবান। আফগানিস্তানে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার মধ্যে তালেবানকে সরকার ক্ষমতা ভাগাভাগির জন্য প্রস্তাব দেওয়ার পর এ দুটি প্রাদেশিক রাজধানী নিয়ন্ত্রণে নিল সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আগস্টেই প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শেষ করবে দেশটি। এর মধ্যেই তালেবান দেশের প্রায় অর্ধেকের বেশি জেলার দখল নিয়ে নিয়েছে। দেশের অধিকাংশ অঞ্চলেই চলছে সংঘাত।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।